বোন ও ভগ্নীপতি সবাই আমেরিকায় সেটেল। তাঁদের অর্থ, বৈভব চোখ ঠিকরে দিত হিতেশ ও বিনান লালের। হিতেশ পেশায় কৃষক। তাঁর স্ত্রী (woman) বিনান একজন স্কুল শিক্ষিকা (govt job)। তাঁরাও আমেরিকায় বসবাস করতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন, বোন ও ভগ্নীপতির মত 'সামাজিক প্রতিপত্তি' পেতে। এর জন্য সবরকম মূল্য দিতে প্রস্তত ছিলেন গুজরাতের (gujrat) লাল দম্পতি। আর সেটাই কাল হল। পাসপোর্ট জালিয়াতি করার অভিযোগে শ্রীঘরে (caught) তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, লাল দম্পতির আমেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা এই প্রথম নয়। ২০১৮ সালে তাঁরা পাসপোর্ট জাল করে আমেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে আয়ারল্যান্ড বিমানবন্দরে ধরা পড়ে যান। চারদিন পর তাঁদের দেশে প্রত্যর্পণ করা হয়। তবে হাল ছাড়েননি তাঁরা।
দেশে ফেরার পর তাঁরা মুম্বইয়ের মানব পাচারচক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ভগ্নীপতিই ওই দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এক কোটি টাকার চুক্তি হয়। মুম্বইয়ের ওই দালাল তাঁদের পাসপোর্টটি নিয়ে গিয়ে নতুন করে বানিয়ে দেন। স্পেশাল অপারেটিং গ্রুপের এক আধিকারিক বলেন, 'সম্ভবত ওই দালালই আগের আয়ারল্যান্ডের প্রত্যর্পণের স্ট্যাম্প দেওয়া পাসপোর্টের পাতাগুলি সরিয়ে দেয়। তার জায়গায় নতুন পাতা জুড়ে দেয়।'
এবার আমেরিকা যাওয়া নিয়ে তাঁরা এতটাই নিশ্চিত ছিলেন যে, বিনান তাঁর প্রাথমিক স্কুলের সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। আমেদাবাদ থেকে দুবাই। এরপর মেক্সিকো হয়ে তাঁদের আমেরিকা প্রবেশের পরিলকল্পনা ছিল। রবিবার তাঁরা বিমান ধরতে আমেদাবাদ বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন। ইমিগ্রেশন আধিকারিকরা দেখেন, তাঁদের প্রত্যর্পণ করা হয়েছিল। কিন্তু পাসপোর্ট থেকে সেই সংক্রান্ত ষ্ট্যাম্প দেওয়া পাতাগুলি উধাও। এরপর দম্পতির বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ও জালিয়াতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ