নিয়ম না মেনে বিদেশি তহবিল ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার (arrest) হতে পারেন পাকিস্তানের প্রাক্তন (former Pakistani) প্রধানমন্ত্রী (prime minister) ইমরান খান (imran khan)। তাঁকে দু'বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। পাকিস্তানের নিয়ম অনুসারে তৃতীয়বার ডাকলেও তিনি হাজিরা না দিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে ইমরানকে গ্রেপ্তার করা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। বুধবার তাঁকে প্রথমবার ডেকে পাঠায় এফআইএ। তিনি হাজিরা দেননি। অগত্যা শুক্রবার আবার হাজিরার নোটিশ পাঠানো হয়।
নির্বাচনে বিদেশি অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের (পিটিআই) বিরুদ্ধে। এরপর তদন্ত শুরু করে এফআইএ। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং বেলজিয়ামে পিটিআইয়ের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা দেওয়ার সময় এগুলির উল্লেখ করেননি কাপ্তান। ১৯৯২ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতেছিল তাঁর নেতৃত্বে। এরপর তিনি রাজনীতিতে আসেন।
তবে এত সহজে ছাড়ার পাত্র নন ইমরান। বুধবার হাজিরার নোটিশ পাওয়ার পরেই, এফআইএ-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, দু'দিনের মধ্যে যদি এই নোটিশ প্রত্যাহার না করা হয়, তবে এফআইএ-র বিরুদ্ধে মামলা করবেন। সেই দু'দিন পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় নোটিশ জারি করে এফআইএ। এক সূত্র উদ্ধৃত করে সে দেশের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, 'এফআইএ ইমরানকে দোষী প্রমাণ করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ জোগাড় করেছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে তথ্য প্রকাশ না করে এমনিতেই ব্যাকফুটে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।' ওই সূত্র জানাচ্ছে, ইমরানের বিরুদ্ধে এফআইএ শেষ এবং চূড়ান্ত নোটিশ জারি করতে পারে আগামী সপ্তাহেই। সেক্ষেত্রে ইমরানের সামনে হাজিরা দেওয়া নয়তো গ্রেপ্তারি ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকছে না।
আরও পড়ুন: গদি খোয়াতে হচ্ছে ইমরান খানকে
0 মন্তব্যসমূহ