Finland PM: আমারও আনন্দ করতে ইচ্ছা করে| বলছেন এই মহিলা প্রধানমন্ত্রী

finland-prime-minister-sanna-marin-defend-of-party-controversy

তার স্বরে বেজে চলেছে গান। সেই গানের তালের সঙ্গে শরীরি হিল্লোল। কখনও ফ্লাইং কিস। কখনও বল ডান্স। এভাবেই সেদিন রাতে বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠেছিলেন সানা মেরিন (Saana Marin)। বিশ্বের কনিষ্ঠতম ৩৬ বছর বয়সি ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী (Finland Prime minister)। রাষ্ট্রকর্ম সিরিয়াস বিষয়। সেখানে সানা মেরিন নাচ-গান করছেন। আর সহ্য হয়নি রক্ষণশীলদের। রে রে করে তেড়ে গিয়েছেন তাঁর দিকে। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে কেউ আনন্দ করলে কারও কিছু করার নেই। তাই অভিযোগটা একটু ঘুরিয়ে করা হল সানার বিরুদ্ধে। সানারা সেদিন মাদক নিয়েছিলেন। এমন জব্বর অভিযোগ ধেয়ে আসার পরে কার কীই বা করার থাকতে পারে। অগত্যা মাদক পরীক্ষায় বসতে হল তাঁকে। সেই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। এরপর অভিযোগ করা হল সরকারি বাসভবনে এমন কাজ করে রীতি ভেঙেছেন।

আসলে জুলাইতে দেশের সেলিব্রিটিদের একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে ডেকেছিলেন মারিন। তখনই এই আনন্দ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে ভিডিওটি ফাঁস করা হয় রবিবার। এতপরে ভিডিওটি ফাঁস করার কারণ হিসেবে মারিনকে অপদস্থ করার একটি প্রয়াস রয়েছে বলেই অনেকে মনে করেন। তবে তাঁকে ঘিরে ছবি বিতর্ক এই প্রথম নয়। চলতি সপ্তাহে আরও একটি ছবি সামনে আসে। সেখানে দুই সোশ্যাল মিডিয়া তারকা চুম্বনে মেতে ওঠেন। অনাবৃত বক্ষ তাঁরা ঢেকে দেন ফিনল্যান্ড লেখা ব্যানারে। এই ছবিটিও তোলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে। 

এরপরেই কিছুটা নরম হয়ে মঙ্গলবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, 'আমার মতে ছবিটা ঠিক নয়। আমি ক্ষমা চাইছি। তবে সেদিন অস্বাভাবিক কিছু ঘটেনি।' তবে এতেও বিতর্ক কমছে না দেখে বুধবার একেবারে নিজের আচরণকে সমর্থন করে বসেন। বলেন, 'আমিও মানুষ। ঘন অন্ধকারে আমারও আনন্দ  করার অধিকার রয়েছে।' হেলসিঙ্কির লাহটি শহরে বসেছিল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বৈঠক। সেখানে কাঁদতে কাঁদতে মারিন বলেন, 'এটা ব্যক্তিগত। এই মেঘাচ্ছন্ন সময়ে আমিও দীর্ঘ সময় আনন্দ করেছি। তবে কোনওদিন কাজ থেকে বিরত থাকিনি।'

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ