Al Zawahiri: মার্কিন ড্রোন হামলায় নিকেশ লাদেনের সহকারি জাওয়াহিরির

al-qaida-chief-al-zawahiri-killed-by-us-how-it-happened-how-it-happened

ওসামা বিন লাদেনকে খতম (killed) করার ১১ বছরের ব্যবধান। এবার খতম আল কায়দার (al qaida) বর্তমান প্রধান (chief) আল জাওয়াহিরি (al zawahiri)। আফগানিস্তানে পরিবার নিয়ে লুকিয়ে ছিল জাওয়াহিরি। তখনই তার উপর ড্রোণ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় মার্কিন (us) বাহিনী। ৩১ জুলাইয়ের নিখুঁত সেই হামলায় জাওহিরিকে নিকেশ করা গিয়েছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। জাওয়াহিরি নিকেশের 'সুখবর' ঘোষণা করে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেন, এরপরে ৯/১১-য় প্রিয়জন হারানো মানুষদের শোক একটু হলেও জুড়বে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হানায় কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ভেঙে পড়ে মার্কিন গর্বের জোড়া স্তম্ভ টুইন টাওয়ার। সেই হামলার এক দশক পরে কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানের আবোতাবাদে খতম করে মার্কিন সেনা। সে সময় মার্কিন মসনদে বারাক ওবামা। ওসামার মৃত্যুর পরে আল কায়দার নেতৃত্বে এগিয়ে আসে ৯/১১-তে ওসামার সহকারী জাওয়াহিরি। মার্কিন  প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাওয়াহিরির মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ২৫০ কোটি ডলার। 


কীভাবে নিকেশ করা হল জাওয়াহিরিকে? (how it happened)

মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তালিবান ছত্রছায়ায় লুকিয়ে ছিল জাওয়াহিরি। এতদিন প্রত্যন্ত এলাকায় লুকিয়ে থাকলেও তালিবান আমলে রাজধানী কাবুলে 'সেফ হোমে' পরিবার নিয়ে আশ্রয় নেয় সে। কিন্তু এরপরেও জাওহিরির খোঁজ পাওয়া সহজ ছিল না। এক মার্কিন আধিকরিক জানিয়েছেন, 'কয়েক বছর ধরে জাওয়াহিরিকে আশ্রয় দেওয়া নেটওয়ার্কের উপর নজর রাখছিল আমেরিকা।' তিনি আরও জানান, এ বছরই মার্কিন গোয়েন্দারা জানতে পারে নাতিপুতি, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা নিয়ে কাবুলে আশ্রয় নিয়েছে জাওয়াহিরি। আর সময় নষ্ট করেনি তারা। জাওয়াহিরি নিকেশের নীলনকশা তৈরি শুরু হয়। 

প্রায়ই জাওয়াহিরিকে তার বাড়ির ব্যালকনিতে দেখা গিয়েছে। এরপর মে-জুন নাগাদ জাওয়াহিরিকে মারার প্ল্যান কষা হয়। পরিবারের জীবনযাত্রার উপর নজর রাখা হয়। কারণ, জাওয়াহিরি ছাড়া অন্য কেউ খতম হোক, তা চায়নি আমেরিকা। সম্পূর্ণ পরিলকল্পনা তৈরির পর ১ জুলাই মার্কিন রাষ্ট্রপতি বাইডেনের কাছে যান গোয়েন্দারা। করোনার অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি পুরো বিষয়টি শোনেন। সম্ভাব্য ঝুঁকির কথাও জানতে চান। অবশেষে ২৫ জুলাই জাওয়াহিরি নিকেশের সবুজ সঙ্কেত দেন। 

জাওয়াহিরিকে খতম করতে ব্যবহার করা হয় ড্রোন চালিত হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র। সেই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ব্যালকনিতেই ক্ষতবিক্ষত হয়ে মৃত্য হয় জাওয়াহিরির। 

আরও পড়ুন: আমার দেশ নিয়ে ও বলার কে? আল কায়দা প্রধান জাওহিরিকে বললেন মুসকানের বাবা


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ