Rishi Sunak: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূতের সম্ভাবনা | পরাধীনতার গ্লানি মুছবে
প্রায় ২০০ বছর ধরে ভারতকে শাসন করেছে ব্রিটেন। 'কালা আদমি'দের সুসভ্য করার দবিও করে থাকে ব্রিটিশরা। শ্বেত অঙ্গের জন্য গর্ববোধও অধিকাংশ ব্রিটিশের। সেই ব্রিটেনেই (British) হয়তো এবার প্রধানমন্ত্রী (prime minister) পদে বসবেন কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত (indian origin)। রাজনীতির মারপ্যাঁচে হয়তো তথাকথিত 'কালা আদমি'কে প্রধানমন্ত্রী পদে বসাতে বাধ্য হবে ব্রিটেন। কনজারভেটিভ পার্টির অন্তর্দলীয় ভোটে এগিয়ে (lead) ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক (Rishi Sunak)। সম্পর্কে যিনি ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা এন নারায়ণমূর্তির জামাই।
বরিস জনসন ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বরিস জনসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে তিনিই প্রথম মন্ত্রিত্ব ছাড়েন। অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সুনাকের পদত্যাগের পরেই একের পর এক মন্ত্রী ইস্তফা দিতে থাকেন। বাধ্য হয়ে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন। ইস্তফার পরে বরিস জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে কখনও সুনাককে সমর্থন করবেন না। সেই সুনাকই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে।
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঠিক করতে বৈঠক শুরু হয়েছে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিতে। সোমবারের ভোটাভুটিতে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন সুনাক। তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ১১৫টি। অনেক পিছনে পেনি মোর্ডান্ট (৮২ ভোট), লিজ ট্রস (৭১ ভোট) ও কেমি বেদেনক (৫৮ ভোট)। সবচেয়ে কম, ৩১টি ভোট পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন টম টুগেনহাট।
কনজারভেটিভ পার্টির নিয়ম অনুযায়ী, যতক্ষণ না পদপ্রার্থীর সংখ্যা কমে ২ হবে, ততক্ষণ অভ্যন্তরীণ নির্বাচন চলবে। তবে কেউ নিজে থেকে সরে গেলে অন্য কথা। সেই সম্ভাবনাও বাড়ছে। এত দীর্ঘ সময় ধরে অভ্যন্তরীণ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টিতে। এতে দলীয় অন্তর্কলহ সামনে এসে পড়ছে বলে অনেকের মত। তাই অন্যদের সরে যাওয়ার উপর চাপ বাড়ছে। তবে ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।
0 মন্তব্যসমূহ