KK: এক সঙ্গীত
মুখর জার্নি কেকের
‘মাত্র ৫৩ বছরের
থেমে গেল কেকের কণ্ঠ। ভাবতেই অবাক লাগছে। কৈশর থেকে যৌবন উত্তীর্ণ হলেও কেকের গানে
মুগ্ধ থেকেছি বরাবর। ভাবতেই পারছি না কেকে আর নেই।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই মন্তব্য করেছেন
এক গুণমুগ্ধ। বস্তুত গত তিন দশক ধরে বিভিন্ন ধরণের গানে ছড়িয়ে রয়েছে কেকের প্রতিভার
বিচ্ছূরণ (Contribution)। হিন্দির পাশাপাশি, তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম, মারাঠি,
ওড়িয়া, বাংলা, অহমিয়া এবং গুজরাতি ভাষায় অসংখ্য গান গেয়েছেন কেকে।
গায়ক কেকে (Who Is KK)
প্রকৃত নাম কৃষ্ণকুমার
কুন্নাথ। ১৯৬৮ সালের ২৩ আগস্ট দিল্লিতে একটি মালয়ালি পরিবারে জন্ম কৃষ্ণকুমারের। বিজ্ঞাপনে
জিঙ্গল গেয়ে তাঁর কেরিয়ার শুরু। বলিউডে গান শুরুর আগেই কেকে সাড়ে ৩ হাজার জিঙ্গল গেয়ে ফেলেছেন। দিল্লির মাউন্ট সেন্ট মারি স্কুলে পড়াশোনা কেকের। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের
অন্তর্গত কিরোরি মাল কলেজ থেকে স্নাতক হন তিনি। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট
দলের থিম সং গেয়েছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে জ্যোতিকে বিয়ে করেন কেকে। তাঁর এক ছেলে ও এক
মেয়ে রয়েছে। কেকের হামসফর অ্যালবামে ‘মস্তি’ গানটি তাঁর ছেলে নকুলকৃষ্ণ কুন্নাথের গাওয়া।
মেয়ের নাম তামারা কুন্নাথ।
কেকের গানের দর্শন (Music Style)
কেকে বিশ্বাস
করতেন গায়ককে বিচার করতে হবে গান দিয়ে। তাঁর মুখ দেখা গেল কি না, সেটা বিচার্য নয়।
বরং তাঁর কণ্ঠ যেন সকলে শুনতে পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে তিনি যাই বলুন, তাঁর লাইভ
কনসার্টে বসে কেকের উপস্থিতি মুগ্ধ করেছে সকলকে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় মৃত্যু গায়ক কেকের
0 মন্তব্যসমূহ