App Thief:
এইট পাশেই দক্ষ অ্যাপ চোর| ধরা পড়লেও মাফ পুলিশের
অষ্টম শ্রেণি মাত্র পাশ (Class eight pass)। এরমধ্যেই একজন সাইবার অপরাধী হয়ে উঠেছে আলিপুরদুয়ারের
যুবক। কোডিং-ডিকোডিংয়ে সে সিদ্ধহস্ত। প্রথাগত কোনও শিক্ষা নেই। তবে তাঁকে সাইবার বিশেষজ্ঞ
বললে কম বলা হয়। যে কোনও ওয়েবসাইটের অন্দরে তার অবাধ যাতায়াত। আর অ্যাপের পাসওয়ার্ড
ক্র্যাক করা তার কাছে কোনও সমস্যাই নয়। এহেন যুবকই একটি অ্যাপ (aap thief ) বানিয়ে ফেলেছে। যার সাহায্যে পৌঁছে
যাওয়া যায় যে কোনও সংস্থার অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের অন্দরে। একবার মাত্র ডাউনলোড করে নিলেই
হল। YMTV নামের ওই অ্যাপ থেকে ঢুকে যাওয়া যাাচ্ছিল একটি আন্তর্জাতিক ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।
সেই ওটিটির বাৎসরিক সাবস্ক্রিপশন ফি যেখানে বছরে হাজার দেড়েক টাকা, সেখানে YMTV-র মাধ্যমে
বছরে খরচ পড়বে মাত্র ২৫ টাকা। অগত্যা ওটিটি ছেড়ে অনেকেই YMTV দেখা শুরু করেছেন। আর
সাবস্ক্রিপশন ফি হারাচ্ছে ওটিটি সংস্থা।
সম্প্রতি ওই সংস্থার সাইবার বিশেজ্ঞদের নজরে আসে বিষয়টি। তাঁরা
তদন্ত করে জানতে পারেন আলিপুরদুয়ারের অসম-পশ্চিমবঙ্গ সীমানার বারোবিশা থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মটি
হ্যাক করা হয়েছে। অগত্যা হ্যাকিং ঠেকাতে সোমবার কুমারগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা
হয়। তদন্তে ওই যুবকের সন্ধান মেলে। পুলিশ জানতে
পারে, মাস তিনেক আগে খেলার ছলে ওই যুবক অ্যাপটি বানিয়েছিল। আর এরপরেই সেই অ্যাপের কামাল
দেখানো শুরু। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকের পরিবারের কম্পিউটারের ব্যবসা। সেখান থেকেই তার
কম্পিউটার তথা গ্যাজেটের প্রতি আগ্রহ। যুবক নাকি সর্বক্ষণ কম্পিউটারের ডুবে থাকত।
অভিযোগ ও চিহ্নিতকরণের পরেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার (police) করে
পুলিশ। তার সঙ্গে অপরাধ জগতের কোনও যোগ রয়েছে কি না, তদন্ত করতে ময়দানে নামেন খোদ পুলিশ
সুপার ওয়াই রঘুবংশী। তদন্তের পর চক্ষু চড়কগাছ তাঁর। তবে এরপরেই ওই যুবককে নিজেদের কাজে
ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন পুলিশ কর্তা। তাঁর বিরদ্ধে লঘু অপরাধের ধারায় মামলা দায়ের
(pardoned) করা হয়। সুপার
বলেন, সব কিছু নেতিবাচক দিক দিয়ে দেখলে হবে না। আদালত ওঁর বিচার করবে। তবে ওঁর দক্ষতাকে
আমরাা আমাদের কাজে ব্যবহার করব বলে ঠিক করেছি।
0 মন্তব্যসমূহ