Old Treasure: ৩০০ বছরের পুরনো গুপ্তধনের সন্ধান| কাঁড়ি কাঁড়ি সোনা| পান্না

300-year-old-treasure-laden-wreck-of-Spanish-ship-found-in-colombia

সে প্রায় ৩০০ বছর (300 year) আগের কথা। ১৭০৮ সাল। নিউ ওয়ার্ল্ড থেকে স্পেনের রাজা পঞ্চম ফিলিপের রাজ দরবারের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল  একটি জাহাজ। নাম সান হোসে। তাতে ছিল রাজার উদ্দেশে পাঠানো সোনা, পান্না। কলম্বিয়া (colombia) উপকূলে ক্যারিবিয়ান সাগরে সেই জাহাজকে ডুবিয়ে (Wreck) দেয় ব্রিটিশ নৌসেনার কার্তেজেনা জাহাজ। আর তার সঙ্গেই সলিল সমাধি ঘটে সোনাদানা ভর্তি জাহাজের (Treasure)। জাহাজে সে সময় ৬০০ জন ছিলেন। সামান্য কয়েকজনই বেঁচে ফিরতে পেরেছিলেন।

জাহাজে সঞ্চিত সামগ্রীর পরিমাণ কত? (How Much Treasure Contains?)

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ২ লক্ষ কেজির বেশি সোনাদানা, রুপো এবং পান্না বোঝাই করা ছিল ওই জাহাজে। আধুনিক বিশেষজ্ঞদের মতে, জাহাজে সঞ্চিত রত্নের বর্তমান মূল্য কয়েকশো কোটি ডলার তো বটেই!

কীভাবে জাহাজের হদিশ মিলল (How The Ship Found?) 

গুপ্তধনের সন্ধানে বহুদিন ধরেই লেগে রয়েছে সন্ধানকারীরা। অবশেষে ২০১৫ সালে ক্যারিবিয়ান উপকূলে জাহাজটির সন্ধান মেলে। কলম্বিয়া সেনার পক্ষ থেকে জাহাজের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। আর সুখবর দিয়ে সেনা জানিয়েছে, জাহাজের মণিমুক্ত, রত্নরাজি অক্ষতই রয়েছে। সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডুবে যাওয়া জাহাজের সন্ধানে দূর নিয়ন্ত্রিত চারটি তল্লাশি তরি পাঠানো হয়েছিল। কলম্বিয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই তল্লাশি অভিযান চালায় সে দেশের সেনা। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ফুট গভীরে রয়েছে এই জাহাজ। তবে এখনও তাতে কারও ছোঁয়া পরেনি। সবই রয়েছে ঘন কাদায় ঢাকা। 

জাহাজের ধ্বংসাবশেষের দিকে তাকালে বোঝা যাবে কাচের বোতল, মাটি বা পোর্সেলিনের সামগ্রী ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর হ্যাঁ, অবশ্যই ঝিলিক দিচ্ছে সোনা। জাহাজের একটা অংশ শ্যাওলা এবং ঝিনুক কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। এই তল্লাশি অভিযানে আরও দু’টি ডুবে যাওয়া জাহাজের সন্ধান মিলেছে। কলম্বিয়া সেনা জানিয়েছে, এর মধ্যে একটি ঔপনিবেশিক সময়ের। অন্যটি কয়েক দশকের পুরনো। 

অনুসন্ধানকারীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন কলম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি ইভান দুকে। তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য এটাকে ব্যবহার করা হবে।

তবে গুপ্তধনের মালিকানা নিয়ে মতভেদ তৈরি হয়েছে। কলম্বিয়া মনে করে এই সম্পত্তি তাদের। কারণ, এই সম্পত্তি তাদের জলসীমাতেই পাওয়া গিয়েছে। আর সম্পত্তির অনুসন্ধানে তারা অর্থ বিনিয়োগ করেছে। তবে তারা এই সম্পদ কখনও বিক্রি করবে না বলে জানিয়েছে। জাতীয় সম্পদ হিসেবে এগুলিকে সংগ্রহশালায় ঠাঁই দেবে।

স্পেন মনে করে ঐতিহাসিক কারণেই এই সম্পদের উপর তাদের দাবি রয়েছে।

আর রয়েছে তৃতীয় একটি গোষ্ঠী, বলিভিয়ার কারা কারা (Qhara Qhara)। তাদের বক্তব্য, অত্যাচার করে এই সম্পদ খননে বাধ্য করা হয়েছিল পূর্ব পুরুষদের।  

কী মনে করেন? কার প্রাপ্য এই সম্পত্তি? ভাবুন। 

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ফুট গভীরে আপাতত শান্তিতে এই বিপুল ধনরাজি। 

আরও পড়ুন: সাড়ে তিন হাজার বছরের প্রাচীন ব্রোঞ্জ যুগের সভ্যতা আবিষ্কার 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ