Sashi Tharoor: কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরের ছবি পোস্ট শশী থারুরের| সমস্যা মিটেছে| মন্তব্য প্রাক্তন বিদেশ রাষ্ট্রমন্ত্রীর
কংগ্রেসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ডমোডোল মেটার ইঙ্গিত দিলেন দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা তথা তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী থারুর (Sashi Tharoor)। চিন্তন শিবির থেকে গ্রুপ ছবি (Photos) পোস্ট করে থারুর জানিয়েছেন, ‘আলোচনা করে সমাধানসূত্র পাওয়া গিয়েছে (amicable solutions found)।’ রাজস্থানের উদয়পুর শহরে চলছে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির। তিনদিনের শিবিরের রবিবারই শেষ দিন। সেখানে গান্ধী পরিবারের সমর্থক কংগ্রেস নেতাদের পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর বহু নেতারও দেখা মিলেছে। বিক্ষুব্ধ নেতারা কংগ্রেসের মধ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আনার পক্ষে বহুদিন ধরে সওয়াল করে আসছেন। রাজ্যে রাজ্যে এবং কেন্দ্রীয় স্তরে কংগ্রেসের ভরাডুবি আটকাতে তাঁদের দাওয়াই , সাংগাঠনিক স্তরে রদবদল করা হোক। এই নিয়ে সোনিয়ার সমর্থক গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে জি-২৩-র বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে।
এই নিয়ে রবিবার দুপুরে থারুরের ট্যুইটে আশার আলো দেখতেই পারেন কংগ্রেস সমর্থকরা। তিনি বলেন, সমস্ত বিবদমান বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। বিতর্কও চলেছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক জানিয়ে থারুরের মন্তব্য, এই আলোচনাই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের পোক্ত উদাহরণ। তবে জি-২৩ গোষ্ঠীর দাবি মেনে কংগ্রেসের সাংগঠনিক স্তরে কোনও রদবদল করা হচ্ছে কি না, তা খোলসা করেননি থারুর।
সূত্রের খবর, জি-২৩ গোষ্ঠীর দাবি মেনে কংগ্রেসের সংসদীয় বোর্ড ফিরিয়ে আনা নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালে পি ভি নরসিমা রাও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে কংগ্রেসের সংসদীয় বোর্ডের অবলুপ্তি ঘটানো হয়। তবে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। এই কমিটিতে কংগ্রেসের কিছু বিক্ষুব্ধ নেতারও স্থান হতে পারে। তাছাড়া ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে রাজ্যে রাজ্যে জোট করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এদিন থারুর মহিলা কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গেও ছবি পোস্ট করেন।
0 মন্তব্যসমূহ