Booker Prize: বুকার পুরস্কার পাচ্ছেন হিন্দি লেখিকা গীতাঞ্জলি শ্রী| জানুন কী রয়েছে উপন্যাসে

novelist-geetnajali-shree-won-international-booker-prize-know-tomb-of-sand

Booker Prize: বুকার পুরস্কার পাচ্ছেন হিন্দি লেখিকা গীতাঞ্জলি শ্রী| জানুন কী রয়েছে উপন্যাসে

বুকার মঞ্চে (International Booker Prize) ভারতীয়দের জয়যাত্রা অব্যাহত। এবার বুকার পুরস্কার জিতে নিলেন হিন্দি ঔপনাসিক গীতাঞ্জলি শ্রী (Geetanjali Shree)। তাঁর ‘টুম্ব অব স্যান্ড’ (Tomb of Sand) উপন্যাসটিকে এবার বুকার পুরস্কারে সম্মানিত করা হল। এক হিসেবে গীতাঞ্জলি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। কারণ তিনিই প্রথম হিন্দি ঔপন্যাসিক যাঁর বই এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল। আসলে ‘রেত সমাধি’ নামে একটি উপন্যাস লিখেছেন গীতশ্রী। তার অনুবাদ করেছেন ডেইলি রকওয়েল। ‘রেত সমাধি’র ইংরেজি অনুবাদ ‘টুম্ব অব স্যান্ড’কেই পুরস্কার দিয়েছে বুকার কমিটি। এবার ১২টি দেশের ১১টি ভাষা থেকে ইংরেজিতে অনুদিত ১৩টি উপন্যাসকে বুকার পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। সকলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেয়েছে রেত সমাধি বা টুম্ব অব স্যান্ড। এই পুরস্কারের জন্য ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড পাবেন গীতাঞ্জলি। তবে অনুবাদকারী ডেইলি রকওয়েল এবং তাঁকে সমানভাবে পুরস্কারের অর্থমূল্য ভাগ করে নিতে হবে।

পুরস্কার পাওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত গীতাঞ্জলি শ্রী বলেন, ‘বুকারের মতো পুরস্কার পাব, কখনও ভাবিনি। কী অনন্য সম্মান! আমি অভিভূত। এই উপন্যাসে একটি বার্তা রয়েছে। আশা করি পুরস্কারের পর এই বার্তা আরও বহু মানুষের কাছে পৌঁছবে।’

কী রয়েছে রেত সমাধি বা টুম্ব অব স্যান্ডে? (Know the Novel ‘Tomb Of Sand’)

এক আশি বছর বয়সি বৃদ্ধার গল্প এই টুম্ব অব স্যান্ড। স্বামীর মৃত্যুতে ওই বৃদ্ধা হতাশায় ডুবে যান। তবে সেই হতাশাকে শীঘ্রই তিনি জয় করেন। সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানে চলে যাবেন। কারণ সেখানেই রয়ে গিয়েছে তাঁর শৈশব। দেশভাগের পর পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে আসে মহিলার পরিবার। বাবা-মার হাত ধরে ওই মহিলারও স্থান হয় এই ভারতে। এক হিসেবে এটি এক ছিন্নমূল মানুষের শিকড় খোঁজার আখ্যান। আফগানিস্তান থেকে ইউক্রেন। যুদ্ধের কবলে পড়ে কত মানুষ যে ঘরছাড়া-দেশছাড়া, তার ইয়ত্তা নেই। সেই প্রেক্ষিতে গীতশ্রীর উপন্যাস আমাদের স্মৃতি মেদুর করে তোলে। আর বুকার পুরস্কার দিয়ে আসলে সম্মানিত করা হল ছিন্নমূল মানুষের সেই ভাবাবেগকে।

বুকার কমিটির কথাতেও উঠে এসেছে সেই ছিন্নমূল মানুষের কথা। কমিটি জানিয়েছে, ‘গীতাঞ্জলি শ্রীর উপন্যাস ৮০ বছরের এক মহিলার গল্প। হিন্দি উপন্যাসের চরিত্র জানার জন্য এই গল্প পড়া দরকার। ডেইসি রকওয়েলের অনুবাদ এই উপন্যাসকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। কাহিনীর জটিলতা বুঝতে সাহায্য করেছে।’

উত্তরপ্রদেশের মইনপুরিতে জন্ম  গীতাঞ্জলি শ্রীর। এখন তিনি দিল্লিতে থাকেন। তিনটি উপন্যাস এবং বহু ছোট গল্পের রচয়িতা তিনি। তাঁর লেখা উপন্যাস, ছোটগল্প ইংরেজির পাশাপাশি অনুবাদ হয়েছে ফ্রেঞ্চ, জার্মান, সাইবেরিয়ান এবং কোরিয়ান সহ বহু ভাষায়।

আরও পড়ুন: অপারেশন রুমকে থিয়েটার বলে কেন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ