Sedition Law: ভারতের দেশদ্রোহ আইনের সাতকাহন

What-is-sedition-law-in-india

Sedition Law: ভারতের দেশদ্রোহ আইনের সাতকাহন

দেশদ্রোহ আইন (Sedition Law) নিয়ে মতামত ঝুলিয়ে রেখে সময় কেনার কৌশল নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কৌশলে জল ঢেলে বুধবার ঐতিহাসিক রায়ে এই আইন স্থগিত করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে আাদালত জানিয়েছে এই আইনে যাঁরা বন্দি হয়েছেন, তাঁরা জামিনের আবেদন করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনা বলেছেন, নতুন করে এই আইনে মামলা দায়ের করা যাবে না। যে সমস্ত মামলা ঝুলে রয়েছে, তা স্থগিত হয়ে যাবে। ফৌজদারি দণ্ডবিধির রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত ধারা ১২৪ এ ধারা নিয়ে কেন্দ্রের পুনর্বিবেচনার কাজ শেষ হচ্ছে, ততদিন এই নির্দেশ বলবৎ থাকবে।

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন কি (What is Sedition Law?)

১৮৬০ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধি (IPC) কার্যকর হয়। খসড়া প্রস্তুত করেছিলেন টমাস ম্যাকউলি।তাঁর খসড়ায় দেশদ্রোহ অন্তর্ভুক্ত থাকলেও ১৮৬০ সালেই তা কার্যকর হয়নি। আইন বিশারদরা মনে করেন, এই অন্তর্ভুক্তি না হওয়া ছিল নেহাতই কাকতালীয়। ১৮৯০ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ১২৪ এ ধারা অন্তর্ভুক্ত করে দেশদ্রোহকে ফৌজদারি অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে খর্ব করতে এই আইনের ব্যাপক প্রয়োগ শুরু হয়। 

বিভিন্ন সময়ে এই আইনে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাল গঙ্গাধর তিলক, অ্যানি বেসান্ত, মৌলনা কালাম আজাদ, মহাত্মা গান্ধী প্রমুখ। 

এই আইনে স্মরণীয় মামলা (Notable Trials Under Sedition Act)

বাল গঙ্গাধর তিলক বনাম রানি, ১৮৯৮

স্বাধীনতার পরেও এই আইনে মামলা হয়েছে।

কেদারনাথ সিং বনাম স্টেট অব বিহার, ১৯৬২

বিয়ন্ত সিং বনাম স্টেট অব পাঞ্জাব, ১৯৯৫

ডাঃ বিনায়ক সেন বনাম স্টেট অব ছত্তিশগড়, ২০১১

অরুণ জেটলি বনাম স্টেট অব উত্তরপ্রদেশ, ২০১৬

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ