Prashant Kishore: নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ইঙ্গিত প্রশান্ত কিশোরের

Prashant Kishore: নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার ইঙ্গিত প্রশান্ত কিশোরের 

Prashant Kishore may form new political party



সবাই তাঁকে চায়। কেউ তাঁকে চায় না। 

গাড্ডায় পড়লেই প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishore) ডাকেন রাজনৈতিক নেতারা। প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই, তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়ে যায়। কোনও দলই তাঁকে জায়গা দিতে চায় না। অগত্যা ব্যর্থ মনোরথ পিকে। এবার হয়তো তিনি নিজেই কোনও রাজনৈতিক দল গড়তে চলেছেন (may form new political party)। সোমবার সাত সকালে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ টুইট, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করে জনমুখী নীতি প্রণয়নে সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করেছি। গত ১০ বছর ধরে চড়াইউতরাই চলেছে। এ বার আসল লোকেদের কাছে পৌঁছনোর সময় হয়েছ। তাঁরা হলেন সাধারণ মানুষ। জন-সুরাজ তথা সুশাসনের বিষয়-আশয় তাঁদের থেকে আর কে ভাল বোঝে! শুরু হবে বিহার থেকে।’

রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসে ধাক্কা খেয়ে সম্বিত ফিরেছে প্রশান্তের। আর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গাঁটছড়া নয়। প্রশান্ত কিশোর বা পিকে হয়তো নিজেই কোনও রাজনৈতিক দল গড়তে চলেছেন (may form new political party)। অতীতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গুজরাতে কাজ করেছেন পিকে। এরপর বিজেপিকে জাতীয় স্তরে প্রতিষ্ঠা দিয়েছেন। তবে বিজেপি নেতারা কোনওদিনই তাঁকে তেমন গুরুত্ব দেননি। পাঞ্জাবে কংগ্রেসের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংকে জিততে সাহায্য করেছেন। অন্ধ্রপ্রদেশে ওয়াইএসার কংগ্রেস নেতা জগনমোহন রেড্ডি তাঁর থেকে পরামর্শ নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসও তাঁর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। তালিকায় রয়েছে প্রশান্তের নিজের রাজ্য বিহারও। প্রবল বিজেপি ঝড় সামলে নীতীশকে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে বসিয়েছিলেন। ‘বিহারি বনাম বাহারি’ শ্লোগানের স্রষ্টাও প্রশান্ত। কৃতজ্ঞ নীতীশ কুমার তাঁকে জনতা দল ইউনাটেডের সহ সভাপতি করেন। তবে নীতীশের সঙ্গে মতপার্থক্য শুরু হওয়ায় দল ছেড়ে দেন।

সবাই তাঁর সাহায্য নেয়। সাহায্য করাই পেশা প্রশান্ত কিশোরের। মোটা অর্থের বিনিময়ে তিনি সেই কাজ করেন। কিন্তু রাজনীতিকরা তাঁর সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত নন। তাবে কি ‘এবার একলা চলো রে’? 

আরও পড়ুুন: প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন?

আরও পড়ুুন: কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনে প্রশান্ত কিশোরের দাওয়াই


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ