MonkeyPox:
জানুন মাঙ্কিপক্সের ইতিহাস| কেন এটা বিপজ্জনক
মাঙ্কিপক্সের
(MonkeyPox) ইতিহাস (History) খুঁজতে গেলে ফিরে যেতে হবে গত শতাব্দীর মধ্যভাগে। ১৯৫৮
সালে প্রথম মাঙ্কিপক্স নজরে আসে। দু’টি বানরের শরীরে এক ধরনের গুটি বসন্ত দেখা দেয়।
দেখতে অনেকটা চিকেনপক্সের মতো হলেও, উপসর্গ অনেকটাই আলাদা। তবে মানুষের শরীরে প্রথম
মাঙ্কিপক্সের অস্তিত্ব নজরে আসে ১৯৭০ সালে। কঙ্গোতে তখন গুটি বসন্ত নির্মূল করার জন্য
ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রশাসন। তখনই মাঙ্কিপক্স মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার একাধিক ঘটনা সামনে
আসে। এরপর থেকে মধ্য এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে নিয়মিত মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের খবর
আসতে শুরু করে। ক্যামেরুন, কঙ্গ, গ্যাবন, লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিয়নেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কঙ্গো রিপাবলিক। এরপর আন্তর্জাতিক উড়ানের সূত্র ধরে সারা পৃথিবীতে
মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ে। আমেরিকা, ইজরায়েল, সিঙ্গাপুর, ব্রিটেনেও পৌঁছে গিয়েছে মাঙ্কিপক্স।
কেন মাঙ্কিপক্স এত বিপজ্জনক (Why MonkeyPox is Dangerous)?
কীভাবে বানর
থেকে মানুষের মধ্যে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ল, তা এখনও নির্ণয় করা যায়নি। তবে সাধারণ গুটি
বসন্ত বা জল বসন্তের থেকে এটা অনেক বেশি সংক্রামক। তাই চিন্তাটাও অনেকটাই বেশি। সাধারণভাবে
বলা হচ্ছে, আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে এলেই মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এটাই সব নয়। দেখা গিয়েছে, পশু এমনকি ভাইরাস লেগে থাকা কোনও উপাদান থেকে এই রোগ
ছড়াতে পারে। কাটা-ফাটা ত্বকের মাধ্যমে, শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে এটা ছড়াতে পারে। তাছাড়া
আক্রান্ত পশুর কামড় থেকে বা মাংস ভালোভাবে রান্না না করলে ভাইরাস থেকে যায়।
0 মন্তব্যসমূহ