Hardik Patel: কংগ্রেস ছাড়লেন গুজরাতের পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল
গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে বড় ধাক্কা। বুধবার কংগ্রেস ছাড়ার (Quits Congress) কথা ঘোষণা করলেন গুজরাতের (Gujrat) পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে নাম না করে রাহুল গান্ধীকে বিঁধেছেন এই পাটিদার নেতা। তাঁর কথায়, ‘যখন কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের নেতাকে দরকার হয়, তখন তিনি বিদেশে থাকেন।’ কয়েকদিন আগে গুজরাতে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে হার্দিকের সঙ্গে তাঁর কোনও বৈঠক হয়নি। এ প্রসঙ্গেও হার্দিক বলেন, ‘আমি যখন শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করি, তখন তাঁরা মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন। গুজরাত নিয়ে তাঁদের কোনও মাথাব্যথা নেই।’ রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির পিছনে শীর্ষনেতৃত্বের দিশাহীনতাকেই দায়ী করেছেন হার্দিক। তাংর কথায়, ‘প্রত্যেক রাজ্যে কংগ্রেসকে ব্যর্থ হচ্ছে, কারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর কোনও রোডম্যাপ তাঁদের কাছে নেই।’
গুজরাতের ভালোর জন্যই তিনি কংগ্রেস ছাড়ছেন বলে হার্দিক জানিয়েছেন। ট্যুইটারে সোনিয়াকে পাঠানো ইস্তফাপত্র তুলে ধরেছেন হার্দিক। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘আমার এই সিদ্ধান্ত সহকর্মীরা ভালভাবেই গ্রহণ করবেন বলে আশা করি। ভবিষ্যতে গুজরাতের জন্য ইতিবাচক কাজ করতে চাই।’ হিন্দিতে লেখা দীর্ঘ পত্রে তিনি লিখেছেন, ‘সরকারের সব ব্যাপারে বিরোধিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে কংগ্রেস। কোনও জনমুখী কর্মসূচি নেই।’
তবে রাজনৈতিক মহল হার্দিকের এই সিদ্ধান্তে মোটেই অবাক নয়। কারণ বহুদিন ধরেই গুজরাত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব এই তরুণ তুর্কি। তাঁকে কোণঠাসা করা হচ্ছে বলে কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমার অবস্থা বরের মতো, যাঁকে জোর করে নির্বীজকরণ করা হয়েছে।’
রাহুল গান্ধীর হাত ধরেই কংগ্রেসে এসেছিলেন হার্দিক। প্রতিবেদনের ছবিটিও কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে রাহুলের সঙ্গে তুলেছিলেন তিনি। তবে দ্রুত সম্পর্কের অবনতি ঘটে। রাহুলের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও সফল হননি তিনি। উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তত শিবিরেও যাননি ২৮ বছর বয়সি এই নেতা।
ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নে মশগুল কংগ্রেস। জয়পুরে চিন্তন শিবিরে সেই লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও করেছে দল। কিন্তু কাদের নিয়ে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াবে? একের পর এক কংগ্রেস নেতা দল ছাড়ছেন। হার্দিকের দল ছাড়া সেই দিক দিয়ে বড় ধাক্কা। এবার কী করবেন হার্দিক। ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে গুজরাতে পাতিদার বিক্ষোভের আঁচ পোহাতে হয়েছে বিজেপিকে। সামান্য ব্যবধানে জয় পায় গেরুয়া দল। এরপর অনেক জল গড়িয়েছে। এবারও পাতিদার নেতারা একজোট হচ্ছেন নরেশ প্যাটেলের নেতৃত্বে। সেই নরেশ প্যাটেলের সঙ্গে দেখা করেছেন হার্দিকও। নরেশের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তের উপরই হার্দিকের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করছে।
0 মন্তব্যসমূহ