আদর্শ গ্রাম বলতে যা বোঝায়, তা নেই ধনিয়াখালির এ গ্রামে। উল্টো করেও বলা যায়। এ গ্রামের যা আছে তা অন্য কোনও গ্রামের নেই। পুকুর আছে। জল তাতে টলটলও করে। গাঁ বধূরা ঘাট থেকে জলও নিয়ে যান। তবে এসব অল্পবিস্তর সব গ্রামেই দেখা যায়। কিন্তু হুগলির ভাণ্ডারহাটির জয়পুর গ্রাম এসব থেকে আলাদা। এ গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নানা ইনস্টলেশন ও ইলাস্ট্রেশন এ গ্রামকে আর পাঁচটা গ্রাম থেকে আলাদা করেছে।
এ গ্রাম শিল্পী অতনু ঘোষের (Atanu Ghosh) কারুবাসনা। গ্রামের বাড়ির দেওয়াল তাঁর ক্যানভাস। দশকের পর দশক ধরে তিনি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে একাজ করে চলেছেন।
হিরণ মিত্রের সঙ্গে অসংখ্য কাজ করেছেন। তবে কখনও এলাকা ছেড়ে যাননি। এলাকাজুড়ে নানা শিল্পকর্মে তাঁর বিদ্যুৎচ্ছটা চোখ টানবেই। গ্রামে গেলে দেখতে পাবেন, শিল্প সাধনায় মগ্ন এই জ্ঞানতাপস ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কাজ করে চলেছেন। অতনু স্যর না থাকলে এঁদের অনেকেরই শিল্পের হাতেখড়িও হতো না। যাবেন নাকি একবার ঘুরে দেখে অতনু স্যারের ক্যানভাস হুগলি জেলার জয়পুর গ্রাম?
কীভাবে যাবেন?
হাওড়া থেকে কর্ড লাইন ট্রেনে পোড়াবাজার স্টেশন। সেখান থেকে অটো, টোটোয় দশ মিনিট পথ।
0 মন্তব্যসমূহ