বিজেপির (BJP) হলটা কি? রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির পরাজয় নিয়ে এই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল লোকসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ফল ঘোষণা হয়েছে। দুটো কেন্দ্রেই তৃণমৃলের (TMC) কাছে হেরেছে বিজেপি। এছাড়া বিহারে বোচানন (Bochahan) কেন্দ্রে আরজেডির কাছে বিজেপি হেরেছে। ছত্তিশগড়ের খইরাগড় (Khairagarh) কেন্দ্রে বিজেপি হেরেছে কংগ্রেসের কাছে। মহারাষ্ট্রের কোলাপুর নর্থ (Kolhapur North) কেন্দ্রেও কংগ্রেসের কাছে পরাজয়ে বিজেপির হতাশার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
এই নির্বাচনগুলিতে বিজেপিকে তেমনিভাবে প্রচারে দেখা যায়নি। এটা কি অতিরিক্ত আত্মতুষ্টি? নাকি লড়াইয়ের আগেই হার মেনে নেওয়? এই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের মধ্য।
পশ্চিমবঙ্গে বগটুইয়ে ৮ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা এবং হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্যণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। সেই আবহে আসানসোল এবং বালিগঞ্জে ভোট হয়। ফলাফলে কিন্ত দেখা যাচ্ছে কোনও প্রভাব পড়েনি এই ঘটনাগুলির। আসলে বিজেপি এসব নিয়ে প্রচারই করেনি। দিলিপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি থাকার সময় বিজেপিতে যে চনমনে ব্যাপার লক্ষ্য করা যেত, সুকান্ত মজুমদার আসার পর তা উধাও। সংগঠনও ছন্নছাড়া। ফল ঘোষণার পর প্রত্যাশিতভাবেই সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দুকে আর চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। আর এসবরেই খেসারত দিতে হচ্ছে বিজেপিকে। আসানসোল কেন্দ্রের কথাই ধরা যাক। বাবুল সুপ্রিয়র ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী করা স্থানীয় বিধায়ক ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পলকে। সেই অগ্নিমিত্রা ৩ লক্ষের বেশি ভোটে হেরেছেন বিহারি বাবুর কাছে। গত দু'বার এই কেন্দ্র বিজেপি জিতেছে। তৃণমৃল এই প্রথম আসানসোল কেন্দ্রে খাতা খুলল। এমনকি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রও ধরে রাখতে পারেননি অগ্নিমিত্রা। পরাজয়ের পর সংযত প্রতিক্রিয়ায় অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul) দলের খামতি আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, 'আাগামী দিনগুলিতে নিচুতলায় কাজ করব।'
সমস্যা হল বিজেপিতে মাটি কামড়ে কাজ করার লোকই দেখা যাচ্ছে না। বা নিচু তলায় কাজ করতে কর্মীদের উদ্দীপ্ত করার মতো নেতাকেও দেখা যাচ্ছে না এ বাংলায়।
না হলে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের জমানত বাজেয়াপ্ত হতো না।
0 মন্তব্যসমূহ