Corruption Charge Against Kolkata Dakshineswar Temple! টাকার হিসেব নেই| দক্ষিণেশ্বর মন্দির ঘিরে নানা দুর্নীতি!
নজিরবিহীন বিতর্কে জড়াল শ্রীরামকৃষ্ণের স্মৃতি বিজড়িত কলকাতার দক্ষিণেশ্বর মন্দির (Kolkata Dakshineswar Temple)। আড়াইশো বছরের পুরনো এই মন্দিরে টাকা নয়ছয় সহ একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সেবাইতদের একাংশ। সবচেয়ে বড় অভিযোগ দুর্নীতির (Corruption)। অভিযোগ করা হয়েছে, মন্দিরের টাকাপয়সার কোনও হিসেব নেই। অভিযোগের তালিকাটা দীর্ঘ। ভুয়ো নির্বাচন করে ৫০ বছর ধরে ট্রাস্টির সম্পাদক পদে রয়েছেন কুশল চৌধুরী।
রামকৃষ্ণের জীবিতাবস্থাতেই ১৮৭২ সালে রানি রাসমনি আটজন নাতির নামে অর্পণনামা করে যান। এরপর বলা হয়, তাঁদের অবর্তমানে পরবর্তী প্রজন্ম মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব পাবে। জটিলতা তৈরি হয় ১৯২৯ সালে। এর পরবর্তী প্রজন্ম সম্পর্কে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা না থাকায় সেবার এক মামলার প্রেক্ষিতে আদালত নির্দেশ দেয়, সেবাইত কারা সেই নিয়ে ভোট করতে হবে। ১৯৭২ সালে আশুতোষ দাস নামে এক সেবাইত তৎকালীন ট্রাস্টি বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। অর্থ তছরুপের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, প্রতি তিন বছর অন্তর ট্রাস্টি বোর্ডের নির্বাচন করাতে হবে।
এবার অভিযোগ উঠেছে, ১৯৮৬ সালের পর আর বোর্ডের কোনও মিটিং হয়নি। ৫০ বছর ধরে কুশল চৌধুরী কীভাবে সম্পাদক রয়েছেন? সেই প্রশ্ন ওঠে। ২০১৯ সালে মন্দিরের বোর্ড নির্বাচনের নির্দেশিকা নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ওঠে। কিন্তু আদালত সেবাইতের তথ্য চাইলে মামলা তুলে নেওয়া হয়। ২০২১ সালে আবার নির্বাচনের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে আসে যায় ট্রাস্টি বোর্ড। মামলার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকে স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেন বিচারপতি শেখর ববি শরাফ। কারা নির্বাচনে ভোট দেবেন, তার তালিকা তৈরি করতে বলা হয়। সেই তালিকা মেলেনি। বিচারপতি রবি কিশেন কাপুর তালিকার বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে আবার বিচারপতি শেখর শরাফের এজলাসে মামলাটি পাঠিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ